সোমবার (১১ মার্চ) সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নিজপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়
ফেরদৌস আহমেদ জেলার সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি আনন্দবাজার এলাকার নুরল হকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি’র কোন এক সভায় যোগদানের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় ফেরদৌস আহমেদ। রাত গভির হলেও সে বাড়িতে না ফেরায় তার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পায় তার পরিবারের লোকজন। অবশেষে লালমনিরহাট শহরে খুজতে এসে শহরের প্রাণ কেন্দ্র মিশন মোড়ে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পাওয়া গেলেও তার সন্ধান মিলেনি।
সোমবার (১১ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নিজপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ফেরদৌসের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। সদর থানা পুলিশ ছুটে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘাতকরা তাকে শহর থেকে নিয়ে এসে নিজপাড়া গ্রামে নির্জন এলাকায় শ্বাসরোধে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে পালিয়ে যায় বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের ধারনা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ফেরদৌস আহমেদ চোরাচালালেন সাথে জড়িত ছিলেন। মাদকে কারবারিদের টাকা লেনদেন নিয়ে বিবাদের জেরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওমর ফারুক বলেন মৃতের পরিবারের দেয়া তথ্য মতে ফেরদৌস বেশ কিছু টাকা নিয়ে বিএনপি’র সভায় যোগদানের কথা বলে বেড়িয়ে এলেও বাড়ি ফিরেনি। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দেয়নি তার পরিবার। আমরা পুরো ঘটনা তদন্ত করছি।
অভিযোগ পেলে ঘটম্নাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।