1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
সাড়ে তিন বছরে পানিতে ডুবে ৩৮০১ মৃত্যু, অধিকাংশই শিশু - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন

সাড়ে তিন বছরে পানিতে ডুবে ৩৮০১ মৃত্যু, অধিকাংশই শিশু

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩
  • ৫১ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। গত সাড়ে তিন বছরে দেশে তিন হাজার ৮০১ জন পানিতে ডুবে মারা গেছে, যাদের মধ্যে ৮৮.৫১ শতাংশ বা তিন হাজার ৩৬৮ জনই শিশু।

গণমাধ্যম উন্নয়ন ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সমষ্টি’র তথ্য মতে, ২০২০ সালে পানিতে ডুবে মারা গেছে ৮০৭ জন, ২০২১ সালে এক হাজার ৩৪৮ জন, ২০২২ সালে এক হাজার ১৩০ জন এবং ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই পর্যন্ত ৫১৬ জন।

প্রতিষ্ঠানটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাস্তবে শিশুমৃত্যুর হার আরো বেশি।

এ অবস্থায় সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ‘কমিউনিটি বেইজড ইন্টিগ্রেটেড সেন্টার ফর চাইল্ড কেয়ার, প্রটেকশন অ্যান্ড সুইম-সেইফ ফ্যাসিলিটিজ’ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি একনেকে অনুমোদিত হয়।

কিন্তু তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটির দেড় বছর চলছে, নেই উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি। প্রকল্পটি দেশের ১৬ জেলায় বাস্তবায়িত হবে।

এসব পরিচালনা করবে বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখন পর্যন্ত এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোকেই নির্বাচন করতে পারেনি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি।

নিয়োগ হয়নি প্রকল্পের স্থায়ী পরিচালকও। শুধু ১৬ জেলায় ১৬ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বাদুরতলী গ্রামের জিয়া কলোনিতে খেলতে খেলতে ডোবার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় তিন চাচাতো ভাই-বোনের।

তারা হলো অটোচালক সোহেল ফকিরের ছেলে আল আমিন (৭) ও মেয়ে শারমিন (৫) এবং সোহেলের ভাই রুবেল ফকিরের মেয়ে মরিয়ম (৮)।

সোহেল ফকির বলেন, আমাদের অবহেলার কারণে আমার দুই সন্তান ও বড় ভাইয়ের এক সন্তানকে হারাতে হয়েছে। এভাবে আর যেন কারো মায়ের কোল খালি না হয়। সন্তান হারানোর যে কী যন্ত্রণা, যার হারায় সেই বুঝে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে আজ মঙ্গলবার তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস।’

২০০৫ সাল থেকে সিআইপিআরবি পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধে সিআইপিআরবির এসব উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, শিশু একাডেমির তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি দেশের ১৬টি জেলার ৪৫টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। এই প্রকল্পের আওতায় এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুই লাখ শিশুর জন্য প্রকল্প এলাকায় আট হাজার সমাজভিত্তিক শিশু যত্ন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

প্রতিটি কেন্দ্রে ২৫ জন শিশুকে ভর্তি করা হবে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিশুরা শিশু যত্ন কেন্দ্রে থাকবে। এক হাজার ৬০০ স্থানে ছয় থেকে ১০ বছর বয়সী তিন লাখ ৬০ হাজার শিশুকে সাঁতার শেখানো হবে।

প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির শিশুও প্রারম্ভিক বিকাশ (ইসিডি) বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্পের পরামর্শক মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৩৬০টি এনজিও প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দিয়েছিল, সেগুলো যাচাই-বাছাই করছে মূল্যায়ন কমিটি। চলতি মাসেই এনজিও সিলেকশন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ