1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
রামগঞ্জের দল্টা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কর্তৃক নারী প্রভাষক লাঞ্ছিত - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৩:০২ অপরাহ্ন

রামগঞ্জের দল্টা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কর্তৃক নারী প্রভাষক লাঞ্ছিত

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২
  • ৪৭৪ 0 বার সংবাদি দেখেছে
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা // লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দল্টা ডিগ্রী কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দা ফাহমিদা আবেদীনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হলে তড়িঘড়ি করে ১আগষ্ট ওমর ফারুক চৌধুরী নামের একজন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দ্বায়িত্ব দেয় কলেজ পরিচালনা কমিটি। গত ৩১ জুলাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। এছাড়া কলেজ পরিচালনা কমিটি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, কুমিল্লা আঞ্চলিক অফিস, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অভিযোগের অনুলিপি প্রদান করেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুলাই প্রতিষ্ঠান হতে বকেয়া টাকা দাবি করায় ওই শিক্ষিকার সাথে অশালীন আচরণ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমেদ। এর প্রতিবাদ জানালে তাকে বরখাস্ত করারও হুমকি দেন তিনি।
গতকাল সকালে সরেজমিনে প্রতিষ্ঠানটিতে গেলে কয়েকজন শিক্ষক জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নারী শিক্ষকদের সাথে আপত্তিকর কথাবার্তা বলত মোস্তাক। এর প্রতিবাদ করতে গেলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দিতো প্রতিনিয়তই।
নার্গিস সুলতানা নামের একজন শিক্ষিকা জানায়, এতোদিন বিক্ষিপ্তভাবে সব নারী শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরন করতো, এখন সরাসরি নারী শিক্ষিকাদের সাথে আপত্তিকর কথা বলতে শুরু করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমেদ। যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
আবু তাহের মোল্লা নামের আরেকজন শিক্ষক বলেন, শুধু নারী শিক্ষকদের সাথে নয়, সবার সাথে আপত্তিকর কথা বলেন তিনি।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা সৈয়দা ফাহমিদা আবেদীন বলেন, এমন আচরণ নতুন নয়, এটা দীর্ঘদিনের। সম্মানটা একান্তই নিজের তাই নিজের সম্মান রক্ষায় উধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্ত মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমি ঢাকা যাচ্ছি। শনিবার কমিটির লোকজন এ বিষয়ে বসার কথা রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোনাজের রশিদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তবে কলেজের ব্যাপারে সরাসরি তদন্ত করতে আমরা পারিনা। উধ্বতন কর্তপক্ষের নির্দেশনা পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
কলেজ ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ শাহজাহান বলেন, উভয়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। আগামী শনিবার শিক্ষকদের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ