1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন

স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২
  • ৩২১ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (২০ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে জাজিরা প্রান্তে সেতুর নিচতলায় রেললাইনের জন্য আরসিসি ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ ছাড়া বেলা ২টার দিকে মন্ত্রী ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশনে রেললাইন বসানোর কাজের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। গত ১৭ জুলাই পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সেতুতে কাজ করার অনুমতিপত্র বাংলাদেশ রেলওয়ের হাতে তুলে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে সেতুতে রেললাইন বসাতে প্রস্তুতি নিতে থাকেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। পদ্মা সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

পদ্মা স্টেশন থেকে বেলা ১২টার দিকে একটি রেলের ট্র্যাক কারে চড়ে সেতুর ৪২ নম্বর পিলার পর্যন্ত আসেন মন্ত্রী ও অতিথিরা। এরপর মন্ত্রী কেকে কেটে ও বেলুন উড়িয়ে সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজের উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী এ সময় বলেন, আগামী বছরের জুনে কমলাপুর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। রেললাইনে যে পাথর ব্যবহার হয়, তা সিলেটের মধ্যপাড়া থেকে সংগ্রহ করা হয়। সেখানে পাথর উত্তোলনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিকল্প উৎস থেকে পাথর আনার চেষ্টা চলছে, যাতে সঠিক সময়ের মধ্যে রেললাইন প্রস্তুত করে রেলসেবা চালু করা যায়।

রেলমন্ত্রী বলেন- জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও এই মুহূর্তে রেলের ভাড়া বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে রেল প্রকল্পের কাজ শেষ করতেও কোনো সমস্যা হবে না। আর ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেল প্রকল্পের প্রকল্প ব্যয়ও বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।

চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘১৯৭৪ সালের বাজেটে বঙ্গবন্ধু এ সড়কের জন্য টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। তখন এখানে মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। তাঁর অসমাপ্ত কাজ তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা করেছেন। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করেছেন। প্রমত্ত পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণ করেছেন। আমাদের কল্পনাতেও ছিল না সেতু দিয়ে রেল যাবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ পদ্মা সেতু দিয়ে রেলসেবা পাচ্ছে।’

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে গ্রুপ। পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। এটি চায়না রেলওয়ে গ্রুপেরই একটি প্রতিষ্ঠান।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। শুরুতে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চালুর দিনই ট্রেন চলাচল শুরুর পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু সময়মতো কাজ এগোয়নি বলে এখন পরিকল্পনা পরিবর্তন করে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশ আগামী জুনে চালুর কথা রয়েছে। এরপর ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে যশোর পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করার কথা।

প্রকল্পের অগ্রগতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুসারে, ১৬ আগস্ট পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬১ দশমিক ৫০ শতাংশ। ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হয়েছে ৬৪ শতাংশ। মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের কাজ হয়েছে ৮১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ