1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
কলেজে পড়ালেখা খরচ বহন করতে দু:শ্চিন্তায় বেতাগীর নুরুজ্জামান! - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন

কলেজে পড়ালেখা খরচ বহন করতে দু:শ্চিন্তায় বেতাগীর নুরুজ্জামান!

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৮৫ 0 বার সংবাদি দেখেছে

পড়ালেখার অবসর সময়টুকুতে সহপাঠী বন্ধুদের সাথে আড্ডা, গল্প, ঘোরাফেরার কথা, সেই সময়টুকু রিকশার হ্যান্ডল নিয়ে পরিবারের উপার্জন করতে হচ্ছে। রিকশা চালিয়ে উপার্জিত টাকায় চার সদস্যের পরিবারের নিজের পড়ালেখা ও বোনের পড়ালেখা বহন করতে হচ্ছে। যার সর্ম্পকে বলা হলো সেই নুরুজ্জামান ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগে ৩.৪৪ পয়েন্ট পেয়েছে।

নুরুজ্জামানের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় জানা গেছে, বরগুনার বেতাগী সদর ইউনিয়নের বিএলবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মানবিক বিভাগে ৩.৪৪ পয়েন্ট পেয়ে উর্ত্তীন হয়েছে। গ্রেড পয়েন্ট গড় হিসেব বিভাজনে ‘ বি’ ধরা হয়। নুরুজ্জামানের বাড়ী বিদ্যালয় সংলগ্ন বেতাগী সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোলানাথপুর গ্রামে। বাবা সালাম মৃধা রিকশা চালক এবং মিনারা বেগম গৃহিনী। বাবা রোগাগ্রস্ত হয়ে শারীরিকভাবে বর্তমানে কাজ করতে অক্ষম। চার বছর আগে থেকেই সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় চার সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয় নুরুজ্জামান। দুই ভাইবোনের মধ্যে ছোট বোন বৈশাখী একই বিদ্যালয় থেকে সপ্তম শ্রেণিতে বার্ষিক দিয়েছে। তার খরচও বহন করতে হচ্ছে নুরুজ্জামানের। গ্রাম থেকে তিন কিলোমিটার দুরে বেতাগী পৌর শহরে এসে রিকশা চালাত। কখনও দৈনিক খবরের কাগজ বিক্রি করতে হচ্ছে। এবিষয় নুরুজ্জামান বলেন,’ যখন কোন যাত্রী ছিল না, তখন বাড়ী যেয়ে বই পড়েছি। এভাবে কাজের অবসরে পড়ালেখা করতে হয়েছে।’

এ থেকে উপার্জিত টাকা দিয়ে নিজের এবং বোনের পড়ালেখার খরচসহ সংসার সকল কিছু দেখভাল করতে হয়েছে।

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলেও অর্থের অভাবে ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারছে না। এমনকি পরিবারের দরিদ্রতার কারণে উপজেলা শহরের কলেজেও ভর্তি হতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ভালো কলেজে না হোক উপজেলার কোন কলেজে ভর্তি হতে গেলে টাকা লাগবে, বই কিনতে হবে। সেশনচার্জ, শিক্ষা উপকরণসহ বছরে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা প্রয়োজন।

এবিষয় নুরুজ্জামান অভিমত প্রকাশ করেন,’ তিনি সরকারি কোন দপ্তরের একজন সৎ কর্মকর্তা হতে চায়। এটা আমার স্বপ্ন। ‘

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) মাসুমা আক্তার ও সহকারি শিক্ষক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বলেন,’ নুরুজ্জামান মেধাবী ছাত্র। তার স্বভাব চরিত্র ও আচরণে বিদ্যালয়ের সকলে সন্তুষ্ট। তার কাছ থেকে বেতন ও পরীক্ষার ফি নেয়নি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ