মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে মানববন্ধন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, ঢাকা বিভাগের সমাবেশ থেকে আমরা ১০ দফা দিয়েছিলাম। ১০ দফার মুলকথা ছিল, এই অবৈধ সরকার পদত্যাগ করতে হবে। এই অবৈধ সংসদ বাতিল করতে হবে। এদেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। এদেশের মানুষ যাতে নিজের হাতে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমত প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে। এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
‘বিএনপি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাবে মোশারফ বলেন, আমি পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্নভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করছে। তাদের সত্যের সাথে কোন সম্পর্ক নেই, এ ধরনের কথা বলে দেশের জনগণকে তারা বিভ্রান্ত করতে চায়। এরা গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে দিনের ভোট রাতে করে। গায়ের জোরে। এদেশের রাষ্ট্র কাঠামো একটি একটি করে ধ্বংস করেছেন আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, ৭২ থেকে ৭৫ এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। সে সময় তারা আমাদের মুক্তযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে, বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। এই দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নামে তারা লুটপাটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা করেছিল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আমান উল্লাহ আমান বলেন, শেখ হাসিনার ১৪, ১৮ সালের মত আরেকটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চায় কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি। আজকে আলোচনা করবেন না, উনি (প্রধানমন্ত্রী) কথা বলবেন না! ওনার মন মতো উনি নির্বাচন করবেন! আমরা বলতে চাই, ১৪ সাল এবং ১৮ সাল ভুলে যেতে হবে। এই বাংলাদেশের নির্বাচন হলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সেটা যদি আপনি না করেন। তবে ৫২, ৬৯, ৯০ এর মত আরেকটি গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে। তার অধীনে নির্বাচন হলে ইনশাল্লাহ জনগণের সরকার নির্বাচিত হবে। সেই সরকার হবে বিএনপি সরকার।
সভাপতি বক্তব্য মির্জা আফরোজা আব্বাস, ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগের বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে সরকার যে ক্রাকডাউন করে হাজার হাজার গ্রেপ্তার করেছে। তারা সমাবেশকে বাঞ্চাল করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এই সরকারের আমলে নারীরা বেশি নির্যাতিত হয়েছে। নারীরা কান্না করে, গুম, খুন, গ্রেপ্তার হওয়া স্বামী-সন্তানদের জন্য। গুলি করে আমাদের ভাইদের হত্যা করছেন। আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা আর ভয় করি না।
নারী নেত্রীসহ গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির সকল নেতা কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।
মহিলা দলের সভাপতি মির্জা আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের সঞ্চালনায় বিএনপির গ্রেপ্তার হওয়া সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। জাতীয় মহিলা দলের মানববন্ধনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেত্রী ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply