1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
চার ঘন্টাব্যাপী আলিয়ার হলে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২২ অপরাহ্ন

চার ঘন্টাব্যাপী আলিয়ার হলে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৭৪ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // রাজধানীর সরকারি মাদ্রাসা ই আলিয়ার আল্লামা কাশগরি(রহ.) হলে ঘুমন্ত ছাত্রদের উপর মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সভাপতি মুরাদ হোসাইনের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় চার ঘন্টাব্যাপী চলা ওই হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা এক কাপড়ে হল ছেড়ে পথে ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের সহায়তায় হল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে গুলি ও বোমা বর্ষণ করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

হলের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাদের সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদ ই মিলাদুন্নবির অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা হলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে হলের সকল সিসি ক্যামেরা ভেঙে, বোমা বর্ষণ করে গুলি চালিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করে হল থেকে বের দেওয়া হয়। মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সভাপতি মুরাদ হোসাইন, সহ সভাপতি হাসান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জিহাদ ও সাবেক সহ সভাপতি আজিমউদ্দিন আল আজাদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাইমুল ইসলাম মাইফুল আলিয়া মাদ্রাসার হলে মাদক কারবার, শিক্ষার্থীদের দিয়ে জোরপূর্বক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। এসব ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
মুরাদ হোসাইন, হাসাদ মাহমুদ ও মাইফুলসহ বহিরাগত মামুনসহ একাধিক ব্যক্তির হাতে পিস্তল ছিল। পিস্তল দিয়ে ফাঁকা আওয়াজ করে ভয় সৃষ্টি করে হলের প্রায় ৭৮ টি রুমের দড়জা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পিস্তলের বাট, রাম দা ও স্টাম্প দিয়ে পেটানো হয়। হাসান সাবেরী, তোহা ইমামকে পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করলে তাদের মাথা ফেটে যায়। মোবারক নামে আরেক শিক্ষার্থীকে তিন তলা থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। সালফান ফারসি, তাওহীদসহ প্রায় পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থী এ হামলায় আহত হয়েছে। হামলার সময় প্রায় ২০০ মোবাইল, ২০ টি ল্যাপটপ নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। হলের গেইট বন্ধ করে প্রায় চার ঘন্টাব্যাপী এই হামলা চলার পর ভোর পাঁচটার দিকে গেইট ভেঙে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হলে পুলিশ প্রবেশ করার পর মুরাদসহ হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে। তবে পুলিশ আবু জিহাদসহ একাধিক হামলাকারীকে আটক করলেও জিহাদকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। হলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এখন। হল কর্তৃপক্ষ অঘোষিত ভাবে শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে যেতে চলেছে। রাতভর মারধরের শিকার ওইসব শিক্ষার্থীরা আহত অবস্থায় এখন পথে ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

কামিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রমজান আলী বলেন, রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বোমা আর গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে আমার। রুম থেকে বেড়িয়ে দেখি মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সভাপতি মুরাদ হোসাইনের নেতৃত্বে প্রায় ৪০ জন সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করতেছেন। আমি নিজেও হাতে ব্যথা পেয়েছি। আধিপত্য বিস্তার করতেই সভাপতি ঘুমন্ত শিক্ষার্থীদের উপর এই হামলা চালিয়েছেন। হলের অবস্থা এখনও থমথমে।

কামিল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন আরেক শিক্ষার্থী বলেন, গুলি আর বোমার শব্দে আমার ঘুম ভেঙেছে। প্রায় ৩০-৪০ জন ব্যক্তি এই হামলা চালিয়েছেন। কারও মাথা ফেটেছে, কারও হাত ভেঙেছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

সরকারি মাদ্রাসা ই আলিয়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বরকত বলেন, মুরাদ হোসাইন, আবু জিহাদ, হাসান মাহমুদ, মাইফুলের নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তার করতেই এই হামলা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে বা হলে কারও সাথে কোনো প্রকার তর্ক হয়নি সভাপতির। সভাপতিসহ তার লোকজন মাদক কারবার করায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার ও তার লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ মেটানো ও আধিপত্য বিস্তার করতেই ঘুমন্ত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হয়েছে। পুলিশ গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। হল কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার নোটিশ না দিয়েই শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দিচ্ছে।

সরকারি মাদ্রাসা ই আলিয়া ছাত্রলীগের সভাপতি মুরাদ হোসাইন বলেন, গতকাল রাতে হালকা পাতলা গ্যাঞ্জাম হয়েছিল। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। পরে কথা বলব জানিয়ে তিনি মুঠোফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রশিদ বলেন, মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে কিছুই বলতে পারছি না। আমাকে আর এবিষয়ে প্রশ্ন করবেন না।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ