1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
‘স্যাংশন একতরফা হয় না, দরকার হলে আমরাও স্যাংশন দেবো’ - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন

‘স্যাংশন একতরফা হয় না, দরকার হলে আমরাও স্যাংশন দেবো’

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪
  • ১৬ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের অধিকার সংরক্ষণে যারা কাজ করেছে তাদের ওপর কীভাবে স্যাংশন আসে? স্যাংশন কখনও এক তরফা হয় না, দরকার হলে আমরাও স্যাংশন দিতে পারি।

আজ বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍‍্যাব) সদর দপ্তরে সংস্থাটির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দরবারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিস্তার রোধে র‌্যাবকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। রমজান সংযমের মাস, কিন্তু এই মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অসংযমী হয়ে ওঠে। এই অসাধু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, ঈদ এলেই জাল টাকার সরবরাহ বেড়ে যায়। সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। যদিও অভিযান চলছে, তারপরও এদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করায় মানুষের মনে শান্তি এসেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সাহসী ভূমিকা রাখায় র‍‍্যাবকে ধন্যবাদ জানান সরকার প্রধান।

২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে র‍‍্যাব। ২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর দিনটিকে ‘রেইজিং ডে’ হিসেবে পালন করে আসছে বিশেষ এই এলিট ফোর্স।

বর্তমানে বাহিনীর মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। প্রতিষ্ঠার পর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও স্ব-স্ব এলাকায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে র‍‍্যাব।

র‍‍্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জীবনবাজি রেখে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে সংস্থাটি।

র‍‍্যাব দেশে জঙ্গিবাদ নির্মূলে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ টানা ৩৩ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) আমির শায়খ আব্দুর রহমানকে সিলেটের শাপলাবাগ থেকে গ্রেপ্তার করে র‍‍্যাব। প্রতিষ্ঠার পর এটিই ছিল র‍‍্যাবের সবচেয়ে আলোচিত অভিযান ও সবচেয়ে বড় সাফল্য।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি তাদের শক্তি জানান দেয়ার পরপরই মাঠে নামেন র‍‍্যাব গোয়েন্দারা। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানিসহ শত শত জঙ্গিকে।

এছাড়া রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর র‌্যাব অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়। গত এক বছরের দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর তিন শতাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকবিরোধী অভিযান, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে বাহিনীটি। এছাড়া বিশেষ দিনগুলোতেও তাদের নিরাপত্তা দিতে দেখা যায়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ