1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
চরফ্যাশনে ইলিশের আকাল, হতাশ জেলেরা  - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরনাম :
জমির সীমানা পিলার দেখিয়ে দেওয়ায় হত্যার হুমকি নড়াইলে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে মৃৎশিল্প নড়াইলে মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে ৫ হাজার ২২ ভোটে চেয়ারম্যান হলেন সফুরা খাতুন বেলি  নড়াইলে দুইজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার মেঘনায় অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞাকে পুঁজি করে হরিলুট, শেষ সময়েও চলছে অবাধে মাছ শিকার মুসাপুরে কিশোর গ্যাং লিডার মামুন ও সজীবের মাদক ব্যবসা রমরমা আব্দুল্লাহ হত্যা মামলার আসামী হামিদ আলী ফের বেপরোয়া নড়াইলের ফাজেল আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা নড়াইলের মাইজপাড়া ও কলোড়া ইউপির নির্বাচন সঠিকভাবে কর্তব্য-কর্ম পালন করার নির্দেশ এসপি বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই শিশুসন্তানসহ মায়ের মৃত্যু

চরফ্যাশনে ইলিশের আকাল, হতাশ জেলেরা 

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২
  • ২৩১ 0 বার সংবাদি দেখেছে

তবে মৎস্য সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী, খুব শীগ্রই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়বে ইলিশ। জ্যৈষ্ঠ থেকে ভরা মৌসুম চলছে ইলিশের। কিন্তু জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণে ও আশানুরূপ দেখা মিলছে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের। নিষেধাজ্ঞার পর গত শনিবার মধ্যরাত থেকে মাছ ধরা শুরু হয়। কিন্তু নদ-নদীতে দেখা মিলছে না তেমন ইলিশের। সাগরে মোটামুটি ইলিশ পাওয়া গেলেও মেঘনা, তেতুলিয়া নদীতে মাছের হাহাকার।

ইলিশের মৌসুমে ও ইলিশ ধরতে না পারায় দূরচিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। একই সঙ্গে হতাশ আড়ৎদাররে ও। সারা দিনে দুই এক ঝুড়ি মাছ ঘাটে আসলেও তেমন হইচই নেই চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া, সামরাজ, নতুন সুইজ, খেজুর গাছিয়া ,বস্কসি, ঢালচর, ডাকাতিয়ার খাল, চরপাতিলার, দক্ষিণ আইচা ও  চর কচ্ছিপিয়া মাছ ঘাটগুলিতে। সেই সঙ্গে  হাটবাজার গুলোতে ও ইলিশের সেই হাঁকডাক নেই আগের মত । ফলে চরফ্যাশন উপজেলার ৪৪ হাজার ৩১১ জন নিবন্ধিত জেলেসহ প্রায় ৬০ হাজার জেলে হতাশায় রয়েছেন।  নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ না পাওয়ায় চরমদুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা।

মৎস্যজীবীদের মাছ শিকারের ঠিকানা বলতে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর ২০০ কিলোমিটারসহ সাগরকূলের মুক্ত জলাশয়। চরফ্যাশন উপজেলার মজিবনগর, চরমোন্তাজের জেলেদের ঠিকানা বুড়াগৌরাঙ্গ, তেতুলিয়া নদী। সারা বছরই কিছু না কিছু মাছ মেলে এই নদী থেকে। কিন্তু বর্ষাকালে ইলিশের দৌলতেই পুঁজির জোগানটা হয়।

উপজেলার চরকচ্ছপিয়ার জেলে হালিম মাঝি ও চরকুকরি-মুকররি ট্রলারের হানিফ মাঝি বলেন, ভরা মৌসমেও নদীতে ইলিশ মাছ নাই। দিন-রাত জাল ফেলে ৫-১০ টা মাছ পাই তা বিক্রি করে যে টাকা হয় তাতে ডিজেলের দাম হয় না। তারপরও পোলাপাইন নিয়ে অনেক কষ্টে চলে সংসার।

ঢালচর মৎস্য ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর তালুকদার ও সহিজল বলেন, টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। জেলেরা সাগরে গেছে। কিন্তু ভরা মৌসুমেও ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ এবার পাচ্ছে না। দৈনিক ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বাজার নিয়ে জেলেরা নদীতে যায়। রাত দিন জাল ফেলে মাছ পায় ৩-৪ হালি করে তা বিক্রি করে যে টাকা পায় তাতে দোকানের মালামালের টাকা দিলে আর জেলেদের তেমন একটা টাকা থাকে না। যে কারণে জেলেরা পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো মারুফ হেসেন মিনার বলেন, মূলত চলতি বছরে খুব বিলম্বে বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ইলিশের তেমন দেখা মিলছে না। বৃষ্টি যত বেশি হবে ইলিশ  মাছের তত দেখা মিলবে। তবে ভোলাসহ উপকূলীয় কিছু কিছু জায়গায় মোটামুটি ইলিশের দেখা যাচ্ছে। দেরিতে হলেও মাছ হবে এমনটা আশা করা যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইলিশ মাছের মৌসুম পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই এই ভরা মৌসুমেও ইলিশ ধরা পড়ছে না। তার মতে, বিষয়টি চিন্তার হলেও এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জেলেদের জালে যে একদমই মাছ ধরা পড়ছে না তা কিন্তু নয়। ইলিশ ধরা পড়ছে তবে পরিমাণে কম।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ